সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মাসের কয়েকদিন কেন প্রিয় মানুষটির মুড অফ?

মাসের কয়েকদিন কেন প্রিয় মানুষটির মুড অফ?

পিরিয়ডের সম্য মাসের ওই কটা দিন মুড অফ থাকাই স্বাভাবিক। বেশীরভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রেই পিরিয়ডের সময় হলেই পেট ব্যথা, মুড অফ, চুপচাপ বসে থাকা, অল্পেই মেজাজ হারানো—এসব নিত্য নৈমিত্তিক অভ্যেসের মতোই গা-সওয়া একটা ব্যাপার। চলুন জেনে নেই  "বিশেষ করে আমাদের পুরুষ পাঠকেরা, যারা সঙ্গিনীর পিরিয়ড হলে বুঝতে পারেন না কি করা উচিত, বা কেনই বা মেয়েদের এই সময় ঘন ঘন মুড অফ হয়"- পিরিয়ডের সময় একজন মেয়েকে কীভাবে সামলাবেন, কীভাবে তার খেয়াল রাখলে তা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
চিত্রঃমাসের কয়েকদিন কেন প্রিয় মানুষটির মুড অফ?
মাসের কয়েকদিন কেন প্রিয় মানুষটির মুড অফ?
পিরিয়ড হলে আসলে মেয়েদের শরীরে হরমোনের নানারকম পরিবর্তন হয়। মেয়েদের শরীরে একটা গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হল ইস্ট্রোজেন। ইস্ট্রোজেন আমাদের মুডকে ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। পিরিয়ড শুরু হলে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নেমে যায়। ফলে তখন মুড ঘন ঘন অফ হয়। মেজাজ ঠিক থাকে না। এছাড়া পেটে ব্যথা তো একটা সাধারণ সমস্যা। এসময় কোনো কাজও করতে ইচ্ছে করে না। অল্পেতেই মাথা গরম হয়ে যায়। রেগে গিয়ে আপনার পার্টনার, হতে পারে তিনি আপনার স্ত্রী বা খুব কাছের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অথবা আপনার বোন–হয়ত আপনাকে এমন কিছু কথাও শুনিয়ে দিলেন যা আপনার প্রাপ্য নয়। এছাড়া এসময় হরমোনের ওঠানামার কারণে মস্তিষ্কে সেরাটোনিনের মাত্রাও কমে যায় যার ফলে ডিপ্রেশন, মন খারাপ ও ইমোশনাল নানারকম সমস্যা হতে পারে। এতে অসহিষ্ণু হবেন না। বরং মেয়েটির প্রতি সহানুভূতিশীল হন। বোঝার চেষ্টা করুন যে সে কেন এরকম আচরণ করছে বা কোথায় তার কষ্ট হচ্ছে।

সঙ্গে থাকুন, সময় কাটানঃ পিরিয়ডের সময় আপনার সঙ্গিনী হয়ত আপনাকে রেগে গিয়ে কোনো কথা বললেন। তাহলে আপনি পালটা রেগে যাবেন না। বরং তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। সম্ভব যদি হয় তাহলে তার পিরিয়ডের দিন মনে রাখুন। ওই কটা দিন তার কাছে কাছে থাকুন। কাজের চাপের মাঝে তাকে যতটা সম্ভব খবর নিন। তবে বারবার জিজ্ঞেস করবেন না পেট ব্যথা হচ্ছে কিনা। কারণ পেট ব্যথা এইসময়ের একটা কমন সমস্যা। বারবার তাই এটা জিজ্ঞেস করলে মেয়েদের ইরিটেশন আরও বেড়ে যায়।সঙ্গিনীকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন। এসময় মেয়েদের খেতে ইচ্ছেই করে না। তাই  এসময়ে একটু খোঁজ নিন সসে ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা। পিরিয়ডের এই বাজে দিনগুলোয় আপনার সঙ্গিনী আপনার সঙ্গ পেতে চাইবেনই। তাই তাকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যান এবং নিজেদের বিষয়ে মজার মজার আলোচনা করে তার মুড ঠিক রাখুন। তার প্রতি অ্যাটেনটিভ থাকুন, তিনি যা চাইছেন তা শোনার চেষ্টা করুন। তবেই তো আপনি আরও বেশী করে ‘কেয়ারিং’ আর ‘লাভিং’ হয়ে উঠবেন!

যা করবেন নাঃ এইসময় কিন্তু মেয়েদের মন মেজাজ যেহেতু ভালো থাকে না, পেট ব্যথা করে, তাই এই কটা দিন সেক্স করতেও তাদের অনীহা দেখা যায়। পিরিয়ডের সময় সেক্স করলে এমনিতে ক্ষতি কিছু না হলেও পেটে ব্যথা নিয়ে সেক্স করা সমস্যার এবং অতিরিক্ত রক্তপাতও হতে পারে। দেখা দিতে পারে নানারকম ইনফেকশন। তাই সঙ্গিনীকে জোর করবেন না একদম। আপনার ইচ্ছে হলেও সে যদি না বলে তাহলে মাথা ঠাণ্ডা করে তার সমস্যাটা বুঝুন। তাকে পালটা মেজাজ কিন্তু কখনও দেখাবেন না। আর পিরিয়ড মানে তো মাসের ওই কটা দিনেরই ব্যাপার। একটু খেয়াল রাখুন। দেখবেন আপনার ‘কেয়ারিং’ আপনার সঙ্গিনীকে চমকে দেবে সেই সাথে নিজেদের সম্পর্কেও আসবে নতুন আবেশ। ছবিঃ সংগৃহীত

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।