সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দ্রুত চুল বড় করতে নিজেই বানিয়ে নিন জবা ফুলের তেল

দ্রুত চুল বড় করতে নিজেই বানিয়ে নিন জবা ফুলের তেল 

অনেক তেল এবং শ্যাম্পুতে জবা ফুলের নির্যাস ব্যবহার করা হয়। জবা ফুল চুল পড়া রোধ করে, নতুন চুল গজাতে এবং চুল সাদা হওয়া রোধ করে থাকে। চুল বৃদ্ধির জন্য একটি ঘরোয়া তেল ঠিক এই কাজটিই করে। এই ভেষজ তেলের প্রধান উপাদানগুলো হল- জবা ফুল, জবা ফুলের পাতা, নারকেল তেল, কারিপাতা, সর্ষের তেল, জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েল, পিয়াজের রস এবং ল্যাভেন্ডারের তেল।
চুল বৃদ্ধির জন্য এই আয়ুর্বেদীয় তেলে যে জবা ফুল আছে তা ভিটামিন এ, সি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড এ সমৃদ্ধ যেটা চুল পড়া রোধ করে, চুলের বীজকোষ শক্তিশালী করে, ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার রাখে, রক্ত প্রবাহ উদ্দীপিত করে এবং চুল বৃদ্ধি করে। ফ্যাটি অ্যাসিড ও অত্যাবশ্যক ভিটামিনে সমৃদ্ধ নারকেল তেল মেদ থেকে ক্ষরিত রস গড়তে সাহায্য করে, মাথার ত্বকের পুষ্টি যোগায় এবং চুল পড়া রোধ করে।
চুল বৃদ্ধির এই ঘরোয়া তেলে কারিপাতা হল প্রোটিন ও বিটা ক্যারোটিনের উৎস যা চুল পাকা রোধ করে, চুলের বীজকোষ উদ্দীপিত করে এবং চুলকে তাড়াতাড়ি বাড়তে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো সাহায্য করতে পারে স্বাভাবিকভাবে অতি দ্রুত চুল বাড়াতে। আসুন চুল পড়া রোধে ও দ্রুত চুল বাড়াতে ওই ভেষজ তেল কিভাবে বানাতে হবে জেনে নেই।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

পাতাসহ ৫ টি জবা ফুল, এক টেবিল-চামচ নারকেল তেল, কয়েকটি কারি পাতা, দুই টেবিল-চামচ সর্ষের তেল, দুই টেবিল-চামচ জলপাইয়ের তেল, এক টেবিল-চামচ পেঁয়াজের রস, দশ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
চিত্রঃঘরোয়া উপায়ে জবা ফুলে তেল বানান নিজেই
ঘরোয়া উপায়ে জবা ফুলে তেল বানান নিজেই

প্রস্তুত প্রণালীঃ

পাতাসহ জবা ফুল মিহি করে বেঁটে রাখুন। মিক্সারে পেয়াঁজ বেঁটে নিয়ে তার রস ছেঁকে নিন। কম আঁচে নারকেল তেল গরম করে এতে কারি পাতা যোগ করুন। অল্প আঁচে কারি পাতা নাড়াচাড়া করে এর মধ্যে জলপাই তেল, পেঁয়াজের রস, সর্ষের তেল এবং ভিটামিন ই জেল যোগ করে নাড়ুন। এটি পাঁচ মিনিট অল্প আঁচে রেখে জবা ফুলের মিশ্রণটি যোগ করুন। রং পরিবর্তন হলে আঁচ নিভিয়ে দিন।
একটি বাটিতে তেলটি ঢালুন ও ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠাণ্ড করুন। একটি তুলার বলের সাহায্যে আপনার মাথার ত্বকে ও চুলের সর্বত্র লাগিয়ে নিন। আঙুলের ডগা দিয়ে ৫ মিনিট মালিশ করুন। কিছুক্ষনের জন্য একটি তোয়ালে  গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে নিন। এক ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করে নিন। এই ভেষজ তেল চুল বৃদ্ধির সঙ্গে আপনার চুলকে মজবুত ও রেশমি করতে সাহায্য করবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।