সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ঈদে রান্নার কাজগুলো সহজ ও দ্রুত করতে পারেন যেভাবে

ঈদে রান্নার কাজগুলো সহজ ও দ্রুত করতে পারেন যেভাবে

দেখতে দেখতে আমাদের মাঝে আবারও এসে পড়েছে পবিত্র ঈদ- উল আযহা। আর ঈদ মানেই হরেক রকমের মজার মজার রান্নাবান্না। ঈদের দিন প্রত্যেক বাড়িতেই নানান রকমের রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গৃহিণীরা। কিন্তু ঈদের দিনটা যদি পুরোটাই রান্না ঘরে কাটিয়ে দিতে হয় তাহলে ঈদটাই একদম মাটি হয়ে যায়। আর তাই ঈদে রান্নার কাজগুলোকে আরেকটু সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস জেনে নিন ।

১। ঈদের মেনুতে খাবারের মেনু আগে থেকেই ঠিক করে ফেলুন। সহজ ও চটপটে সব খাবার বাছাই করুন, যেগুলোর তৈরি করতে খুব বেশি সময় লাগেনা। এই পরিকল্পনার সুবাদে আপনি আপনার কাজগুলো গুছিয়ে করতে পারবেন এবং নিজেকেও পরিপাটি রাখতে পারবেন।

২। খাবারের মেনুর ব্যাপারে বিচক্ষন হোন, এমন খাবার বাছাই করবেন না যেগুলো ঈদের দিনে গরুর মাংসেরমতো ভারি খাবারের পর আপনার পরিবারকে ক্লান্ত ও অলস করে তুলবে।

৩। আদা, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি মশলাগুলো ঈদের দুই একদিন আগেই বেঁটে ফ্রিজে রেখে দিন। মসলা বাটার ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছে ব্লেন্ডার। সহজে যেকোনো মসলা ব্লেন্ড করে নিতে পারবেন। জিরা, গরম মশলা এবং অন্যান্য মশলাও আগেই গুড়ো করে রেখে দিতে পারেন। এতে করে আপনার রান্নার সময় অনেকখানি বেঁচে যাবে।
চিত্রঃঈদে রান্নার কাজগুলো সহজ ও দ্রুত করতে পারেন যেভাবে
সময় বাঁচাতে ঈদে রান্নার কাজগুলোর কিছুটা আগের দিন করে রাখা যায়

৪। জর্দা, ফিরনি কিংবা সেমাই সাজানোর জন্য বাদাম কুঁচি ব্যবহার করা হয়। ঈদের দিন এই ঝামেলা এড়াতে আগেই বাদাম কুঁচি করে একটি বাক্সে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর পরিবেশনের আগে ঝটপট ছিটিয়ে দিন সেমাই কিংবা জর্দার উপর।

৫। অল্প সময়ে ভাত, মাংস  রান্নার জন্য নিতে পারেন রাইস কুকার। এ ছাড়া এতে সবজি এমনকি মাছও রান্না করা যায়। কুকারে ভাত রেঁধে আপনাকে হয়তো অন্য কাজে যেতে হবে। যাওয়ার আগে কুকারে ম্যানুয়েল থেকে টেম্পারেচার ঠিক করে দিয়ে গেলে যখনই বাসায় ফিরবেন ভাত,মাংস গরম থাকবে এবং নষ্ট হবে না। এসব সরঞ্জামে রান্না করলে আলাদা পাত্রে পরিবেশন করতে হয় না বলে বাসন ধোয়ার সময়টাও বেঁচে যায়।

৬। ঈদের দিন অনেকেই মুগির রোস্ট করে থাকেন। রোস্ট করতে চাইলে ঈদের আগের দিনই মুরগি গুলোকে কেটে ধুয়ে একটু ভেজে রেখে দিন। আপনার রান্নার সময় অনেকটাই বেঁচে যাবে ।

৭। যদি ঈদে কারো বিরিয়ানি রান্না করার ইচ্ছে থাকে তাহলে বিরিয়ানির মাংস আগেই রেঁধে রাখতে পারেন। আগে থেকেই রেঁধে ফ্রিজে রেখে দিলে খুব কম সময়েই বিরিয়ানি রান্না করা যাবে। ঈদের দিন অল্প সময়ে খুব সহজেই ঝটপট আপ্যায়ন করাতে পারবেন আপনার অতিথিকে।

৮। ঈদে যদি কেউ কাবাব তৈরি করতে চান, তাহলে মাংস কিমা করে মশলা মিশিয়ে আগেই কাবাব তৈরী করে রাখুন। এরপর একটি প্লেটে সাজিয়ে কিছুক্ষন ডিপ ফ্রিজে রেখে শক্ত করে নিন। তারপর শক্ত করে নেয়া কাবাব গুলো একটি বাক্সে ভরে ফেলুন । ঈদে মেহমান এলে চটপট ভেজে ফেলতে পারবেন আপনার পছন্দের কাবাব।

৯। ঈদের দিনের ঝামেলা এড়াতে কিছু রান্না ঈদের আগের দিনই রেঁধে রাখতে পারেন। ফিরনি, পুডিং, মুরগীর মাংস সহ বিভিন্ন ধরণের খাবার গুলো ঈদের আগের দিন রাতেই রেঁধে রাখলে ঈদের দিন আর রান্নাঘরে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হয়না।

১০। রান্নার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মসলা সেদ্ধ হতে বিভিন্ন ধরনের সময় লাগে। এ কারণে রান্নায় দেওয়ার জন্য পেঁয়াজ, রসুন, আদা, টমেটো, মসলা-এই ধারা বজায় রাখুন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।