সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শারদীয় সাজের কিছু টিপস

শারদীয় সাজের কিছু টিপস

শুরু হয়ে গেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের সবচাইতে বড় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিমা দেখার সাথে সাথে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে যেন ব্যস্ত সবাই। সকালে চোখের সাজ হালকা রেখে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক,  শাড়ির সঙ্গে কপালে টিপ আর হাতে চুড়ি না হলে সাজে পূর্ণতাই আসবে না। তবে  মনে রাখতে হবে দুর্গা পুজো বিয়ে বাড়ির সাজ নয়। অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হবে, ভিড় ঠেলে প্যান্ড্যাল হপিং করতে হবে। স্থির হয়ে বসার উপায় নেই। তাই মেকআপ বা সাজের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন কিছু ব্যাপার।
চিত্রঃপূজার সাজের মেকআপ টিপস
পূজোর সাজে মেকআপ টিপস
১। কোন ধরনের পোশাক পরছেন তার ওপর নির্ভর করেই মেকআপ করতে হবে। না হলে যে পুরো সাজটাই মাটি হবে। সুতারাং পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে মেকআপের কথা ভাবুন।

২। অষ্টমীর অঞ্জলির দিন যে ঢাকাই শাড়িটি পরবেন তার মেকআপ যা হবে, নবমীর নাইট আউটের লং ড্রেসের মেকআপ অবশ্যই আলাদা হবে।  তাই সময় বুঝে মেকআপ করুন আর চড়া মেকআপ করলে গরমে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা। তাই বেস মেকআপ একেবারেই প্রাথমিক রাখুন।

৩। সকালে সান স্ক্রিনই যথেষ্ট। রাতে হালকা ফাউন্ডেশন লাগান। তবে সকাল বা বিকেল একটা নামী কোম্পনীর বিবি ক্রিম, বা সিসি ক্রিম থাকলে এই বেস মেকআপের ঝামেলাটা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সানস্ক্রিন, ফাউন্ডেশন, বা কনসিলার–সব কাজ এক সঙ্গেই হয়ে যাবে। একটু শিমারি লুক ট্রাই করা যেতে পারে। বেস মেক-আপের পর হালকা করে একটু ট্রান্সলুসেন্ট শিমারি কমপ্যাক্ট বুলিয়ে নিন। খুব চড়াও দেখাবে না। আবার মুখও ঝলমল করবে।

৪। মেকআপের জন্য পরিষ্কার ত্বক খুবই জরুরি। ক্লিনজিং জেল বা ক্রিম ভালো করে লাগান। তারপর ভেজা তুলো দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। মেকআপ প্রডাক্ট কেনার আগেই খেয়াল করুন কী ধরনের প্রডাক্ট ব্যবহার করবেন ও কী রং ব্যবহার করবেন। এ সময় পারফেক্ট চয়েজ হলো ওয়াটার বেসড ও পাউডার মেকআপ। মেকআপ বেশিক্ষণ ফ্রেশ রাখার জন্য কিছু প্রস্তুতি নিতে পারেন।

৫। মেকআপ করার আগে পরিষ্কার কাপড়ে আইস কিউব জড়িয়ে মুখ মুছে ফেলুন। বড় রোমকূপের মুখ বন্ধ করতে সাহায্য করবে। তৈলাক্ত ত্বকে ফাউন্ডেশন বা পাউডার লাগানোর আগে অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। কিছুক্ষণ পর ফাউন্ডেশন লাগান। ঘাড়, গলায় ও মুখে পাউডার লাগানোর সময় হালকা ভেজা স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। পাউডার সহজে সেট করবে। লুজ পাউডারের থেকে কমপ্যাক্ট পাউডার বেশিক্ষণ থাকে আর স্মুথ ও ফিনিশ হয়।

৬। মেকআপ চড়া হয়ে গেলে কিছুটা মেকআপ রিমুভ করার জন্য টিস্যু ব্যবহার করুন। আই পেন্সিলের কাজল কিছুক্ষণ পর মুছে যায়। তার বদলে লিকুইড আই লাইনার ব্যবহার করুন। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে কিছুটা ফাউন্ডেশন লাগান। লিপস্টিক সহজে উঠে যাবে না।

৭। অবশ্যই বেশি করে পানি পান করুন। তাহলে সাজের সাথে সাথে আপনার ফ্রেশ লুক ফুটে উঠবে। শসা, পেঁপে ও তরমুজ এগুলো ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই বেশি করে ফল খান।

৮। মেকআপ করুন তবে নিজের ন্যাচারাল লুকটাকে প্রাধান্য দিয়ে। মেকআপ করার পর বারবার মুখে হাত দেবেন না। মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে। ব্যাগে টিস্যু রাখুন । ঘাম হলে হালকা করে টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।

৯। মনে রাখবেন যতটুকু সময় মেকআপ করার জন্য দিবেন তার অর্ধেক সময় মেকআপ তোলার কাজে দিন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে মেকআপ তুলে ভালোমতো মুখ পরিষ্কার করে মশ্চরায়জার লাগিয়ে নিন।

১০। মেকআপ তোলার পরে একটি ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ঠান্ডা রাখার জন্য শসার রসের সঙ্গে ২ চা-চামচ মিল্ক পাউডার, একটা ডিমের সাদা অংশ, সামান্য গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে গলায় ও মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ঠান্ডা হবে, সঙ্গে ত্বকের কালো ভাবও দূর হবে।
উৎসবের পুরোটা সময় আপনার ত্বকের ক্লান্তির ছাপ মুছে হয়ে উঠুন উচ্ছ্বল।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।