সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সুস্বাদু কুমড়ো পাতার বড়া

সুস্বাদু কুমড়ো পাতার বড়া

কুমড়ো ফুলের বড়া অতি পরিচিত একটি খাবার। তবে এবার শুধু ফুল নয় পাতা দিয়েও বানানো যাবে বড়া। কুমড়ো পাতায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, লৌহ এবং কম ক্যালরি। এই পাতা কোলেস্টরল কমায় ও লিভার ভালো রাখে। এটি শুধু ব্যাকটেরিয়ারোধীই নয়, একইসাথে আমাদের ইমিউন সিস্টেমেরও উন্নতি ঘটায়। কুমড়ো পাতায় প্রচুর আয়রন থাকে। রক্তস্বল্পতায় এটি দারুন কার্যকর হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীরা এটি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
চিত্রঃকুমড়ো পাতার বড়া
কুমড়ো পাতার বড়া

উপকরণঃ আতপ চাল ও মসুরের ডাল এক মুঠো করে, ধনেপাতা ও পেঁয়াজ কুচি ২টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১/২ চা চামচ, আদার রস ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি এক চা চামচ, হলুদগুঁড়ো সামান্য, জিরাগুঁড়ো ১/২ চা চামচ, কুমড়ো পাতা, লবণ , তেল পরিমাণমতো।

প্রণালিঃ প্রথমে আতপ চাল ও মসুরের ডাল ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ভাল করে ধুয়ে বেটে কুমড়ো পাতা ও তেল বাদে বাকি সব উপকরণ এর সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এবার কচি দেখে কুমড়ো পাতা বেছে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝেড়ে মাঝখানে মিশ্রণটি দিয়ে মুড়ে নিন। এরপর ওপর-নীচ দুপিঠেই মিশ্রণটি লাগান। একটি ননস্টিক প্যানে সামান্য তেল দিয়ে গরম করে বড়াগুলো দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ বাদামী করে ভেজে তুলুন।
টমেটোর সস দিয়ে বিকালের নাস্তায় কিংবা গরম ভাতের সাথেও খেতে পারেন স্বাস্থ্যসম্মত কুমড়ো পাতার বড়া।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।