সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পূজোয় নিরামিষ, আমিষে লাউয়ের তিন পদ

পূজোয় নিরামিষ, আমিষে লাউয়ের তিন পদ

চিত্রঃনিরামিষ, আমিষে লাউয়ের বিভিন্ন পদ
 নিরামিষ, আমিষে লাউয়ের বিভিন্ন পদ

লাউশুক্ত

উপকরণঃ
১। লাউ ২ কাপ
২। মুগডাল ১ কাপ
৩। শুকনা মরিচ ২ টি
৪। করলা ১ টি
৫। সরিষা ১/২ চা চামচ
৬। আদা বাটা ১/২  চা চামচ
৭। ঘি বা তেল ৩ টেবিল চামচ 
৮। লবণ স্বাদমতো
৯। তেজপাতা ১ টি
১০। চিনি ২ চা চামচ

প্রনালীঃ
* লাউ ডাল রান্না করার জন্য লাউয়ের বোটার কাছের অংশ ছোট টুকরা করে ধুয়ে, ডাল ও লাউ অল্প পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন।
* করলা ধুয়ে চাক চাক করে কেটে আলাদা করে ভেজে লাউ ডালের কড়াইতে দিয়ে সাথে লবন দিয়ে দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে রাখুন।
* ঘিয়ে তেজপাতা ছেড়ে মরিচ ও সরিষার ফোড়ন দিন। আদাবাটা ও  সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে ডাল দিয়ে নিন।
* নামানোর আগে চিনি দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

লাউ চিংড়ি

উপকরনঃ
১। লাউ টুকরো করে কাটা ২ কাপ
২। চিংড়িমাছ ১ কাপ
৩। রসুনবাটা ১/২ চা চামচ
৪। আদাবাটা ১ চা চামচ
৫। হলুদ গুঁড়ো ১/৩ চামচ 
৬।মরিচ গুড়া ১/৩ চা চামচ
৭। কালোজিরা ১/২ চামচ 
৮। জিরাগুড়া  ১/৩ চামচ 
৯। ধনিয়াগুড়া ১/৩ চামচ 
১০। কাঁচামরিচ ৫টি 
১১। ধনেপাতা কুঁঁচি, লবন তেল পরিমাণমতো।

প্রনালীঃ
* প্রথমে লাউ ছোট কিউব করে টুকরা কেটে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন এবং কিছু ছোটো চিংড়িমাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝড়িয়ে রাখুন।
* রান্নার পাত্রে তেল গরম করে তাতে রসুনবাটা ও আদাবাটা  দিয়ে নেড়ে তাতে হলুদগুড়া, মরিচগুড়া, জিরা ও  ধনিয়া গুড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে তাতে চিংড়িমাছ গুলো দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন।
* তারপরে লাউ গুলো দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। লাউ থেকে পানি বের হবে এবং লাউ এর পানিতেই লাউ সিদ্ধ হবে। মাঝে লবন দিয়ে আবারো নেড়ে নিন।
* কিছুক্ষন রান্না করার পর লাউ সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে মাখা মাখা হলে চেরা কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

সরষে বাটা দিয়ে লাউ

উপকরণঃ
১। লাউ টুকরো করে কাটা ১ কাপ
২। আলু টুকরো করে কাটা ১ কাপ
৩। সরষে বাটা ১ বাটি
৪। বড়ি ভেজে টুকরো করে রাখা ১/২ কাপ
৫। হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ 
৬। আস্ত মেথি ১/২ চামচ 
৭। কালোজিরা ১/২ চামচ
৮। আস্ত জিরা ১/২ চামচ
৯। মৌরি ১/২ চামচ
১০। কাঁচামরিচ কুচি ২ চামচ
১১। লবন স্বাদমতো
১২। তেল পরিমাণমতো।

প্রণালীঃ
প্রথমে রান্নার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে মেথি, মৌরি, কালোজিরা ও জিরা ফোড়ন দিন।
* ফোড়ন হালকা ভাজা হলে তারমদ্ধে কাঁচামরিচ কুচি ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিন। এরপরে টুকরো করে কেটে রাখা লাউ ও আলু দিয়ে নাড়াচাড়া করুন।
* এবার সরষে বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। সরষে বাটার কাঁচা গন্ধ যেতেই সামান্য পানি ও লবন দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে লাউ সেদ্ধ হতে দিন।
* মিনিট পাঁচেক পর ঢাকনা খুলে ভেজে রাখা বড়ি দিয়ে খানিকক্ষণ নেড়েচেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল সরষে বাটা দিয়ে লাউ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।