সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ব্লাউজ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু অতি প্রয়োজনীয় টিপস

ব্লাউজ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু অতি প্রয়োজনীয় টিপস

চিত্রঃব্লাউজ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু অতি প্রয়োজনীয় টিপস
ব্লাউজ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু অতি প্রয়োজনীয় টিপস
  • ব্লাউজের ফিটিং ভালো হতে হলে সঠিক মাপ নেওয়া জরুরি। আপার বাস, মিডল বাস ও লোয়ার বাসের মাপ ঠিকঠাক নিতে হবে। ব্লাউজের সেলাইয়ে ডার্টের মাপ ঠিক রাখাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  •  ডার্টের মাপ ঠিক থাকলে হাতা ও কাঁধের ফিটিং ভালো হবে এবং স্লিভের পাশে ভাঁজ পড়বে না।
  • ব্লাউজের লেন্থ বেশি চাইলে ব্যক্তির উচ্চতা অনুযায়ী ১৪-১৫ ইঞ্চির পর দুই পাশে কামিজের মতো কাটা থাকলে ফিটিং ভালো হবে।
  • মসলিন, জর্জেট বা সিল্কের ব্লাউজের ভেতরে লাইলিন দিতে হবে। সুতির লাইলিন দিতে না চাইলে ব্লাউজের কাপড় দিয়েই ডাবল লাইলিন দেওয়া যেতে পারে। আর সুতি চাইলে খুব পাতলা সুতি, যেমন- পাকিজা বা বেক্সি ভয়েলের লাইলিন আরামদায়ক।
  • ব্লাউজের নেক লাইনে কাজ থাকলে গলার গয়না বাদ দিলেই ব্লাউজের সৌন্দর্য বজায় থাকবে। জমকালো সাজে কানে ভারী গয়না রাখুন। চুলের সাজেও হরেক গয়নার ব্যবহার সাজে জৌলুস বাড়াবে।
  • স্লিভলেস পরার জন্য অবশ্যই হাত হতে হবে সুঢৌল, মেদহীন, লোমমুক্ত। অতিরিক্ত মোটা আর ক্ষীণকায় হাত হলে স্লিভলেস না পরাই ভালো।
  • মোটা শরীরের মেয়েরা অনেক সময়ই দ্বন্দ্বে থাকেন কোন ছাঁটটি দিলে তাঁদের ভালো লাগবে দেখতে। হাত যাদের মোটা, সব সময় ব্লাউজের হাতাটি বড় রাখুন। এতে শুকনো লাগবে 
  • ব্লাউজের গলার ক্ষেত্রে দিতে পারেন ভি-ছাঁট। এতে অনেক ভালো লাগবে। চওড়া কাঁধ যাঁদের তাঁরা গোল দিয়ে, ভি-ছাঁট দিয়ে অথবা ওভাল গলা পরুন।
  • এক রঙের কাপড়ের ওপর শুধু ব্লকের ব্যাবহারেই আনা যায় ভিন্নতা। শুধু দরকার হবে রং ব্যবহার করার সময় একটু বাড়তি সচেতনতা। শুধু একটি নয়, তিন-চারটা রং ব্যবহারেও কাপড়টিকে সুন্দর করে তোলা যায়।
  • আপনি যদি শাড়িতে পরিপূর্ণতা আনতে চান , আপনার ব্লাউজটি হতে হবে মানানসই ছাঁটে অনেকেই ব্লাউজ উঁচু কলার দেয়। তবে শার্টের কলার দিলেও মন্দ হয় না, তবে এই গরমে না।
  • অফ শোল্ডার অনেকেই দিচ্ছে। আপনিও অফ শোল্ডার ব্যাবহার করতে পারবেন অনায়াসে, ছাঁটে একটু এদিক-ওদিক করেই। সে ক্ষেত্রে আপনাকে করতে হবে অফ শোল্ডার ব্লাউজটির ওপরের অংশটি পাতলা কাপড় দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। অফ শোল্ডার দেয়ার সুবিধা এটার শোল্ডার ভাবটি থাকার পাশাপাশি কাঁধের ওপরের অংশটিও ঢাকা থাকবে।

অবশ্যই  শখের ব্লাউজ ব্যবহারে যত্নশীল হতে হবে। ব্যবহারের পর বাতাসে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি। নকশাদার যেকোনো ব্লাউজ অবশ্যই ড্রাইক্লিন করা উচিত। ভাঁজ না করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। সুতির ব্লাউজ ভাঁজ করে রাখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে লাম্বালম্বি একটা ভাঁজ দিয়ে রাখুন। ছবিঃ সংগৃহীত

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।