সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অফিসে উত্তম পোশাক নির্বাচনের কিছু টিপস

অফিসে উত্তম পোশাক নির্বাচনের কিছু টিপস

ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, তার মানসিকতা এবং নৈতিক আচরণ প্রস্ফুটিত হয় কেবল তার পোশাকের মাধ্যমেই। তাই অফিসের পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। অনেকেই হয়তো বুঝতেই পারেন না অফিসে কোন পোশাক পড়ে আসা উচিত। বিশেষ করে যেসব অফিসে ড্রেস কোড ঠিক করে দেয়া নেই সেইসব অফিসে পোশাক নিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অনেকেই এমন অনেক বেমানান পোশাক পরে আসেন যা অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে। কাজেই ব্যক্তিত্ব প্রকাশে প্রতিষ্ঠানের ধরণ, প্রচলিত সংস্কৃতি ও অবস্থান বুঝেই পোশাক নির্বাচন করা উচিত। তাই জেনে নিন অফিসে উত্তম পোশাক নির্বাচনের কিছু টিপসঃ
চিত্রঃঅফিসে উত্তম পোশাক নির্বাচনের কিছু টিপস
অফিসে উত্তম পোশাক নির্বাচনের কিছু টিপস

১। অফিসের জন্য হালকা মার্জিত রঙের পোশাক নির্বাচন করুন। কেননা খুব বেশি কড়া রঙের পোশাক অফিসে দৃষ্টিকটু দেখায়।

২। নারীরা পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে শালীনতার বিষয়টি মাথায় রাখুন। যে পোশাকই পরুন না কেন তা যেন অফিসের সঙ্গে মানানসই ও শালীন হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন।

৩। অতিরিক্ত কারুকাজের জবরজং পোশাক পরে এবং কখনোই খুব বেশি সেজে অফিসে যাবেন না। এতে ব্যক্তিত্ব নষ্ট হতে পারে। যেভাবে আপনাকে খুব কনফিডেণ্ট দেখায় সেভাবেই যান কর্মস্থলে।

৪। সাধারণত অফিসে ফরমাল শার্ট পরাই বেশি ভালো। তবে কেউ টি শার্ট পরে অফিসে আসতে চাইলে অবশ্যই কলার যুক্ত টি শার্ট পরুন। কেননা গোল গলার টি শার্ট অফিসে খুবই বেমানান দেখায়।

৫। সাধারন স্যান্ডেলের পরিবর্তে অফিসে সু পরে আসতে পারেন। অথবা এমন জুতা পরুন যেটা হাটার সময় খুব বেশি শব্দ হয় না। নয়তো অফিসে নিজেকে বেমানান লাগবে।

৬। শব্দের সৃষ্টি হয় এমন কোনো অলংকার পরে নারীদের অফিসে আসা ঠিক নয়। কেননা অলংকারের শব্দে অন্যদের কাজের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে।

৭। আপনার অফিসে প্যান্ট পরার অনুমতি থাকলে সবসময় ফরমাল প্যান্টই নির্বাচন করুন। খুব বেশি ভিন্ন ধরনের কাট ছাঁটের কিংবা বেশি টাইট ফিটিং ইনফরমাল প্যান্ট পরে অফিসে না আসাই ভালো।

৮। অফিসে কড়া গন্ধের সুগন্ধির পরিবর্তে হালকা ঘ্রাণের রুচিশীল সুগন্ধি ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার রুচিশীল মানসিকতার পরিচয় মিলবে।

৯। বিবাহিত নারীরা হাতভর্তি চুড়ির না পরে হাল্কা ২ টা চুড়ি কিংবা ঘড়ি ব্যবহার করুন।

১০। মনে রাখবেন অফিস আপনার কাজের যায়গা। এখানে খুব ভারী মেকআপ ও অনেক ঝকমকে জামাকাপড় অফিসের জন্য উপযুক্ত নয়। আবার তার মানে এই নয় যে কোন রকম অফিসে চলে যাবেন। নিজেকে দেখতে রুচিশীল মনে হয় সেভাবেই যাবেন। ছবিঃ সংগৃহীত

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।