সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রঙের প্রভাব কি শুধুই কাপড়ে, নাকি আপনার মনেও?

রঙের প্রভাব কি শুধুই কাপড়ে,  নাকি আপনার মনেও?

কালো, বাদামী, ধূসর, এই রঙগুলো নাকি ব্যাক্তিত্ব বহন করে। তাই নিজের জন্য রঙ বেঁছে নিতে অনেকেরই নিরাপদ পছন্দ থাকে এধরেন রঙগুলো। কালচে বা ডার্ক রঙ যাদের পছন্দ, তারা সাধারণত রঙ নিয়ে খুব বেশি এক্সপেরিমেন্ট (পরীক্ষা) করেন না। তাই তাদের বেশিরভাগ জামা হয়ে থাকেন এই ধাঁচের রঙের। তবে জানেন কি, রঙিন রঙের পরিবর্তে এমন ডার্ক রঙ বেঁছে নেওয়ার কারণে আমরা কত কিছু মিস করে যাচ্ছি?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যখন আমরা কোন রঙের দিকে তাকাই, তখন তা আমাদের মস্তিষ্ককে নাড়া দেয়। মস্তিষ্কের এই আলোড়ন ব্রাইট বা উজ্জ্বল রঙের ক্ষেত্রে একরকম। ডার্ক বা কালচে রঙের ক্ষেত্রে হয় আরেক রকম। লাল, গোলাপী, কমলার মতো উজ্জ্বল রঙ শরীরে আনন্দ অনুভূতির হরমোনের নিঃসরণ করে। এতে মন ইতিবাচক অনুভব করে এবং মুড ভালো থাকে। তাই মন খারাপের সময় রঙিন কাপড় পরার উপদেশ দেন অনেকেই। নিজেই দেখবেন রঙিন জিনিস, ঘর, পর্দা, দেয়াল আপনার মনকে একটা ভালো লাগা অনুভব করাচ্ছে। তাই মন খারাপ বলে ডার্ক রঙ পড়বেন না। বরং মন ভালো রাখতে চান বলে, উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরুন। যদিও যেকোন রঙিন রঙ মন ভালো রাখার জন্য যথেষ্ট। তারপরও  জেনে নিন কোন রঙ নির্দিষ্টভাবে মনে কেমন প্রভাব ফেলে।
চিত্রঃ রঙের প্রভাব কি শুধুই কাপড়ে,  নাকি আপনার মনেও?
রঙের প্রভাব কি শুধুই কাপড়ে,  নাকি আপনার মনেও?
লাল ও বেগুনীঃ
লাল, বেগুনী রঙ প্রাণবন্ততা জাগায়। আপনাকে করে বোল্ড। কারণ এই রঙ নাকি এনার্জির অনুভূতি জাগায়। ফলে আপনি কাজের প্রতি উৎসাহ পাবেন।

গোলাপীঃ
সব রঙের মাঝে গোলাপী হচ্ছে শান্ত, তবে তারপরও প্রাণবন্ত। গোলাপীবোঝায় ভালোবাসা, ভালো লাগা, রোম্যান্স এর মতো মৃদু অনুভূতির প্রকাশ পায় এই রঙে।

সবুজ ও হলুদঃ
হলুদ, কমলা, সবুজের মতো ভাইব্রেন্ট বা স্পন্দনশীল রঙ নাকি মনে আনন্দের আমেজ আনে। গাছ, ফুল, ফলের মাঝে এই রঙগুলো খুব বেশি পাওয়া যায়। এজন্যই প্রকৃতির মাঝে মন আনন্দ খুঁজে পায়।

নীলঃ
বেদনার রঙ বলা হয় নীলকে। তবে নীল কিন্তু মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। নীল রঙ দেখে শরীরে ক্যামিকেল রিএকশন হয়, যা মনকে ভাবতে সাহায্য করে। বিভিন্ন শেডের নীল দৃঢ়তা, নির্ভরতা, জ্ঞান, রাজকীয়তা এবং আনুগত্য বোঝায়।

বাদামীঃ
এই রঙ প্রকাশ করে বন্ধুত্বকে, নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্বকে। মাটির রঙ বাদামী বলে, এই রঙ দিয়ে প্রাকৃতিক বা নির্ভেজাল বিষয়টিও বোঝানো হয়। ছবি, তথ্যঃ সংগৃহীত 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।