শীতের পোশাকের যত্ন
শীতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো সারা বছর যত্ন করে তুলে রাখা হয়। পুনরায় ব্যবহারের আগে তাইঅনেক দিন ঘরে থাকার ফলে যেকোনো কাপড়েই একধরনের গন্ধ হয়, থাকে রোগজীবাণু, পড়তে পারে দাগও। তুলে রাখা হলেও ময়লা হয়ে যেতে পারে এগুলো। পোকামাকড়ের উপদ্রবও হতে পারে।
![]() |
শীতের পোশাকের যত্ন |
>> ড্রাইওয়াশ উপযোগী কাপড় ঘরেও পরিষ্কার করা যাবে। সে জন্য শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে হবে। আর লন্ড্রি ওয়াশ উপযোগী কাপড় গুঁড়া সাবান মেশানো পানিতে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলা যায়।
>> শীতকালে ঘাম কম হয় তাই কাপড় খুব একটা ধোয়ার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া এই সময় সূর্যের তাপ কম থাকায় কাপড় সহজে শুকায় না। তাই শীতের পোশাক পরার পরে তা কিছুক্ষণের জন্য বাতাসে মেলে দেওয়া ভালো।
>> রেশম ও পশমের কাপড়ে ঘামের দাগ লাগলে তা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হয়। পুরানো ঘামের দাগ ও রঙিন কাপড়ের দাগ উঠাতে অ্যামোনিয়া হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এবং সোডিয়াম হাইপো সালফাইডের দ্রবণে পরপর ভিজিয়ে শুকাতে হবে।
>> পশমি কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া যায় না। শুধু লিকুইট ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হয়। তার জন্য আপনাকে মাত্র ৫/১০ মিনিট ভিজিয়ে নিয়ে কচলে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং পানি চেপে ফেলতে হবে।
>> সাধারণত ডিটারজেন্ট বা লিকুইড ডিটারজেন্ট ভালো করে পানির সাথে মিশিয়ে ২০/৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে উলের কাপড় হালকা হাতে কেঁচে ধুয়ে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে বেশি জোরে কাঁচা বা নিংড়ানো যাবে না।
>> উলের কাপড় ওয়াশিং মেশিনেও ধোয়া যাবে. উলের কাপড়ে যদি কোনো দাগ পড়লে ধোয়ার আগে ঐ দাগের উপর লেবু ঘষে নিতে হবে।
>> কাশ্মিরি শাল বা সোয়েটার লিকুইট ডিটারজেন্ট দিয়ে ঘরেই ধোয়া যায়। তবে হালকা ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে পানি বের করতে হবে এবং ছায়া যুক্ত স্থানে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে শুকাতে হবে।
>> লেদারের জ্যাকেট বারবার ওয়াশ করা যায় না। তাই মাঝে মাঝে অল্প রৌদ্রে দিয়ে ব্রাশ করে ঝেড়ে ফেলতে হবে। বছরে ১/২ বার ড্রাই ওয়াশ করানোই ভালো। অবশ্যই লেদারের জ্যাকেট হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
মন্তব্যসমূহ