সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ত্বকের যত্নে গ্লিসারিন

ত্বকের যত্নে গ্লিসারিন

ত্বকের যত্ন-আত্তিতে গ্লিসারিন বেশ উপকারী, যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধানে এটি খুবই কার্যকরী।
চিত্রঃত্বকের যত্নে গ্লিসারিন
ত্বকের যত্নে গ্লিসারিন। ছবিঃসংগৃহীত
>> প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁট নরম হবে এবং কালচে ভাব দূর হবে।

>> শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। এটি চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে, যা চুলকে ঝরঝরে ও মসৃণ করে।

>> ৩ চা চামচ দুধের সাথে ১ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে সারারাত রাখুন। আপনি চাইলে হাত ও পায়েও লাগাতে পারেন। সকালে ধুয়ে ফেলুন।এটি ক্লিঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।

>> শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় একটি ছোট পাত্রে ১ টেবিলচামচ ভ্যাসেলিন ও গ্লিসারিন নিয়ে ভালোভাবে মিশান। মিশ্রণটি আপনার মুখে ও শরীরে লাগিয়ে রাখুন সারারাত।

>>গোসলের পরে এক মগ পানিতে এক টেবিল-চামচ গ্লিসারিন মিশায়ে তা শরীরে ঢালুন। তবে সাধারণ পানি দিয়ে আর ধুয়ে ফেলবেন না। এভাবে গোসল করা হলে তা আপনার সারা শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ফলে সারাদিনই ত্বকের নমনীয়তা অনুভব করবেন।

>> এক চা চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের বলিরেখা দূর হবে।

>> এক চা চামচ গ্লিসারিন এক কাপ গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি বোতলে রেখে দিন। নিয়মিত মুখ ধোয়ার পর এই মিশ্রণ দিয়ে মুখের ত্বক মুছে নিন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হবে।

>> প্রতিদিন মুখ ধোয়ার পর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে কারন গ্লিসারিন ত্বকের ময়েশ্চাইজার ধরে রাখে।

>> এক চা চামচ বরিক এসিড পাউডারের সঙ্গে আধা চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ব্রণ দূর হবে।

>> এক টেবিল চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে এক চা চামচ আমন্ড পাউডার ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ব্ল্যাকহেড দূর হবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।