সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভ্যাসলিনের কিছু অজানা ব্যবহার!

ভ্যাসলিনের কিছু অজানা ব্যবহার!

পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসেলিন কথা আমরা সবাই জানি যা কিনা আমদের ত্বককে প্রয়োজনীয় ময়েশচার করে নরম ও মসৃণ করে। হাতের কনুই এর খসখসে চামড়া নরম ও মসৃণ করতে বা গোড়ালির ফাটা রোধ করতে নিয়মিত ভ্যাসলিন ব্যবহার অনন্য।
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের কিছু অজানা ব্যবহার!
ভ্যাসলিনের কিছু অজানা ব্যবহার!
নখ ভাঙ্গা থেকে রক্ষা পেতে এবং নখকে শক্ত করতে ভ্যাসলিনের সঙ্গে গ্লিসারিন মিক্স করে নখে লাগান। অথবা শুধু ভ্যাসলিনও ব্যবহার করতে পারেন। চুলের আগা ফাটা রোধ করতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলের আগায় একটু ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে চুলের আগা ফাটা কমে যাবে।
কিন্তু ঠোট কিংবা পা ফাটা রোধ করা ছাড়াও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে রয়েছে ভ্যাসলিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু ব্যবহারের কথাঃ

সুপার গ্লু টিউবের মুখেঃ
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের কিছু অজানা ব্যবহার!

সুপার গ্লু টিউবের মুখ অথবা যে কোন পেচিয়ে খুলতে হয় এমন পাত্রের মুখ সহজে খুলতে এর প্যাচের মধ্যে ভ্যাসেলিন লাগিয়ে নিতে পারেন।

চুইংগাম দূর করতেঃ
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের কিছু অজানা ব্যবহার!

টেবিলের নীচে বা অন্য কোন কাঠের তাকে যদি চুইংগাম লেগে থাকতে দেখেন তবে তাতে অল্প ভ্যাসেলিন লাগিয়ে তা উঠে আসা পর্যন্ত ভাল করে ডলতে থাকুন এবং সেগুলি উঠিয়ে ফেলুন।

পারফিউমের গন্ধ ধরে রাখতেঃ
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের কিছু অজানা ব্যবহার!

পারফিউম দেওয়ার আগে হাতে বা গলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে সেখানে পারফিউম স্প্রে করুন। এটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত পারফিউমের সুগন্ধ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

আটকে যাওয়া ক্যাপ খুলতেঃ
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের কিছু অজানা ব্যবহার!

নেইল পলিশের ক্যাপ খোলা নিয়ে প্রায়ই সমস্যায় পড়তে হয়। এটি থেকে মুক্তির জন্যে বোতলের মুখে অল্প একটু ভ্যাসলিন লাগিয়ে রাখুন। ভ্যাসলিন থাকায় ক্যাপটি সরাসরি বোতলের কাচের সংস্পর্শে আসবে না এবং ভবিষ্যতে সহজেই ক্যাপটি খুলতে পারবেন।

মেকআপ রিমুভারঃ
চিত্রঃ ভ্যাসলিনের কিছু অজানা ব্যবহার!

মেকআপ রিমুভার হিসেবে ভ্যাসলিন খুবই ভালো। পুরো মুখে ভ্যাসলিন মেখে তুলা দিয়ে ঘষে মেকআপ তুলে ফেলুন। ভ্যাসলিন ব্যবহারে মুখ ধোয়ার পরও ত্বক শুষ্ক হবে না। বরং সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনার ত্বক বেশ সতেজ হয়ে যাবে।

পানির দাগ দূর করতেঃ আপনি কি প্রায়ই গ্লাসের তৈরি আসবাবের উপর পানির গ্লাস বা চায়ের কাপের গোল দাগ দেখতে পান? এই নিন এর একদম উপযুক্ত সমাধান, এতে অল্প একটু ভ্যাসেলিন দিন এবং সারারাত রেখে দিন। এটি আপনার আসবাব পত্রের দাগ দূর করে দেবে।

চুলের রঙের দাগ তুলতেঃ অনেক সময় সাদা চুল কালো রঙ করতে গিয়ে কপালে, কানে এসব স্থানে লেগে যায়। সেই দাগ সহজে তোলাটাও কষ্টকর হয়ে যায়। তখন সামান্য কিছুটা ভ্যাসলিন নিয়ে লেগে থাকা দাগের উপর লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে।

মরিচা প্রতিরোধেঃ লোহার তৈরি নানান টুলসে প্রায়ই মরিচা পড়ে। ভ্যাসলিন ব্যবহার করে সহজেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ ভ্যাসলিনের আস্তরনটির কারণে পানি ধাতুর সংস্পর্শে আসবে না। তাই মরিচাও পড়বে না!

কাঠের আসবাবপত্র পরিষ্কারেঃ প্রায় কাঠের আসবাবপত্রে (বিশেষ করে ডাইনিং টেবিলে) গ্লাস এবং প্লেট রাখায় দাগ পড়ে যায়। ভ্যাসলিন ব্যবহার করে সহজেই দাগগুলোকে সরাতে পারেন। এক টুকরো কাপড়ে ভ্যাসলিন নিন এবং দাগ থাকা জায়গাগুলো ভালোভাবে মুছে নিন। সব দাগ উঠে যাবে।

দাগ তুলতেঃ কাপড় থেকে মেকআপের দাগ তুলতে ধোয়ার আগে সেখানে ভ্যাসলিন লাগান। ধীরে ধীরে দাগ উঠে যাবে।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।