সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ব্লেজারে বৈচিত্র্য

ব্লেজারে বৈচিত্র্য 

স্মার্ট পোশাক হিসেবে বরাবরই ব্লেজারের কদর রয়েছে। শীতে স্টাইলিশ আউটফিট হিসেবে ব্লেজারের নকশা ও কাটছাঁটে থাকছে নানা বৈচিত্র্য।
চিত্রঃব্লেজারে বৈচিত্র্য
ব্লেজারে বৈচিত্র্য
হাল ফ্যাশনে কোমর পর্যন্ত ঝুল এবং লম্বা হাতার ব্লেজার চলছে। গলার ছাঁটে ভি আকৃতি এবং বোতামসহ ফোল্ডিং হাতাও চলবে। ব্লেজার যে রঙের হবে তার সঙ্গে ভেতরের ট্যাংকটপ বা টপটির রং না মিলিয়ে বিপরীত রং বেছে নেওয়া যায়। একটির রং হালকা হলে আরেকটি হতে হবে গাঢ় রঙের। তবে কখন রঙ মিলিয়ে আর কখন বিপরীত রঙ পরা হবে তা ব্লেজারের নকশার ওপরও নির্ভর করে। তবে খুব বেশি শকিং কালার করপোরেট লুকে মানানসই নয়।
ব্লেজারের প্যাটার্নের ক্ষেত্রে এবার কিছুটা সাইড ওপেন ব্লেজার চলছে। হ্যান্ডস্টিচ, বেনকলার, এমব্রয়ডারি, বাটনলেস, টপসিন, শার্ট কলারসহ অসংখ্য ডিজাইনের ক্যাজুয়াল ব্লেজার এখন গায়ে চড়াচ্ছেন ফ্যাশনসচেতন মেয়েরা। উচ্চতা বেশি হলে তরুণীরা চেকের ব্লেজারও পরতে পারেন। ব্লেজারের ডিজাইনের ক্ষেত্রে হ্যান্ডস্ট্রিচ, এমব্রয়ডারি, প্রিন্ট ও হাতের কাজের ব্লেজার এখন বেশি ব্যবহার হচ্ছে, যা অনায়াসে পরা যাবে অফিসপাড়া থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পার্টিতেও। মেয়েরা প্যান্ট-শার্ট, স্কার্ট এমনকি সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও পরতে পারেন এ ধরনের ব্লেজার।

বাটনের রদবদলেও এবার ব্লেজার হয়ে উঠছে বৈচিত্র্যময়। পাঁচ বাটন, দুই বাটন, তিন বাটনের ব্লেজারের পাশাপাশি এখন এক বাটন এমনকি বাটন ছাড়া ব্লেজারও চলছে। লেডিস ব্লেজারে এখন ইস্পাতের বাটন ব্যবহার হচ্ছে। ব্লেজারের সবগুলো বাটন একরঙের যেমন চলছে, তেমন একেকটি বাটন একেক রঙেরও জনপ্রিয়তা রয়েছে এখন। শারীরিক গড়ন মোটা হলে এক বোতাম, চিকন ও মাঝারি হলে দুই-তিন বোতাম ব্লেজার পরলে ভালো দেখাবে। এক বোতামের ব্লেজারই এখন ফ্যাশনে ইন। যাদের কম উচ্চতা, তাদের স্ট্রাইপ আর যাদের উচ্চতা বেশি তাদের এক রঙের চেক ব্লেজার ভালো মানায়।
ব্লেজার নির্বাচনের প্রথম শর্ত ফেব্রিক্স। সাধারণত উল ব্যালান্ডেড এবং রিংকেল ফ্রি ফেব্রিক্স ব্লেজারের জন্য ভালো। কাপড়ে ববলিন উঠবে কিনা, রিংকেল ফ্রি কিনা, কালার জ্বলে যাবে কিনা ইত্যাদি যাচাই করে নিন। সেলাইয়ের ক্ষেত্রে ফিটিংস, শোলডার প্যাড, বাটন ইত্যাদি বিবেচনায় রাখুন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।