সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

লবনের হরেক রকম ব্যবহার

লবনের হরেক রকম ব্যবহার 

শুধু রান্নায় নয় সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় লবন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায়ও সহায়তা করবে লবন।
চলুন জেনে নেই  দৈনন্দিন জীবনে লবনের বিভিন্ন ব্যবহারঃ

* নতুন কোন কাপড় কেনা পর তা ধোওয়ার সময় পানিতে সামান্য লবন ব্যবহার করুন, কাপড়ের রঙ নষ্ট হবেনা। এই পদ্ধতিতে এক কাপড়ের রঙও অন্য কাপড়ে লাগবে না।
চিত্রঃ লবনের হরেক রকম ব্যবহার
লবনের হরেক রকম ব্যবহার

* ফুল রাখলে অনেক সময় ফুলদানিতে এক ধরনের বাদামি দাগ পড়ে যায়, এই দাগ উঠাতে লবন দাগের উপর ঘষে নিন। দাগ উঠে আসবে।

* নতুন কেনা মোমবাতিগুলো ব্যবহার করার আগে লবন পানিতে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন, এতে মোমবাতি সহজে গলবেনা এবং সবদিকে ছড়াবে না।

* সামান্য মধু এবং লবন একসাথে মিশিয়ে বডি স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, এতে মরা চামড়াগুলো সহজেই উঠে আসবে।

* খুশকীর সমস্যা থেকে রক্ষা করবে লবন। শাওয়ারের আগে শুধু মাত্র লবন দিয়ে অন্তত পাচঁ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসেজ করুন। খুশকীর সমস্যা দুর হয়ে যাবে।

* ঠোঁটের মরা চামড়া উঠাতে টুথব্রাশে অল্প লবন ছিটিয়ে হালকা করে ঠোঁট ঘষে নিন।এবার ভেজা ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে হালকা ঘষা দিলেই সব মরা চামড়া উঠে আসবে। এবং ঠোঁট নরম লাগবে।

* গলার ব্যাথা কমাতে সামান্য গরম পানিতে লবন মিশিয়ে কুলি করুন, অনেকটা আরাম পাবেন।

* মগে চা বা কফির দাগ তুলতে লবন খুবই কার্যকর। একটি স্পন্জে বাসন ধোওয়ার লিকুইডের সাথে সামান্য লবন মিশিয়ে নিন। এবার মগ ভালো করে ঘষে নিন। চা বা কফির জেদি দাগ মগ থেকে উঠে যাবে।

* কাঠের ফার্নিচার বা টেবিলে পানির দাগ পড়লে এক কাজ করুন। দাগের উপর সরাসরি কয়েক দানা লবন ছিটিয়ে একটি স্পন্জ দিয়ে মুছে নিন। সহজেই দাগ চলে যাবে।

* কার্পেটে চা বা কফির দাগ পড়লে দাগের উপর লবন ছিটিয়ে দিন। এরপর একটি নরম ব্রাশ পানিতে ভিজিয়ে দাগ ঘষে তুলে ফেলুন।

* শাকসবজী দ্রুত সিদ্ধ করতে এক চিমটি লবন প্যানে ছিটিয়ে দিন, খুব দ্রুত সিদ্ধ হবে। এছাড়া গরম পানি করার সময় একটু লবন ছিটিয়ে দিলে পানি তাড়াতাড়ি ফুটে উঠবে।

* বাদাম বা শিমের বিচিঁ যেকোন কিছুর খোসা ছাড়ানো কঠিন কাজ। তবে লবন পানিতে কয়েক ঘন্টা এগুলো ভিজিয়ে রেখে তারপর খোসা ছাড়ান দেখবেন খুব সহজেই খোসা ছাড়াতে পারবেন।

*  হাত থেকে আদা রসুন, পেয়াঁজ বা হলুদের গন্ধ দার করতে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে লবন পানিতে পাঁচ মিনিট হাত ভিজিয়ে রাখুন গন্ধ থাকবে না আর।

* ফুলকপি, বাধাঁকপি ইত্যাদি শাকসবজী কাটার আগে কিছুক্ষণ লবন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, পোঁকা থাকলে বের হয়ে আসবে।

*  ডিম সিদ্ধ করার সময় পানিতে সামান্য লবন ছেড়ে দিন, এতে ডিম তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে এবং খোসা ছাড়ানোও সহজ হবে।

* ফলমূল কাটা পর খুব সহজেই কালো হয়ে যায় দেখতে বিশ্রী লাগে, লবন পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফলমূল কালো হবে না।

* কেক তৈরী করতে ডিমের সাদা অংশ ফোম করতে হয়। ফোম সহজে তৈরী করতে ডিমের সাদা অংশে অল্প লবন দিয়ে নিন, খুব তাড়াতাড়ি ফোম হয়ে যাবে।

* পিপঁড়ার উপদ্রব কমাতে লবন কাজে আসে। যেখানে পিপঁড়া বাসা বেধেঁছে তার আশে পাশে লবন ছিটিয়ে রাখুন পিপঁড়া আসবে না। ছবিঃ সংগৃহীত

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।