যত কম ঘুমাবেন, আয়ু তত কমবে!
প্রতিদিন আমরা অনেক দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছি। কাজে যাওয়ার জন্য আমরা ঘর থেকে বের হই অনেক আগে, আর কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়িতেও ফিরি অনেক দেরিতে। আমরা আমাদের সামাজিক এবং পারিবারিক জীবনকেও বাদ দিতে চাই না। কাজেই পরিবারের সদস্যদের সময় দেয়া, বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে ঘোরাঘুরি, টেলিভিশন দেখা.. এসব কিছুর পেছনেই কিন্তু সারাটা দিন চলে যায়। আর এত কিছুতে সময় দিতে গিয়ে যখন সময়ের টানাটানি পড়ে, তখন আমরা ঘুমের সময়টার ওপরই ভাগ বসাই। আমাদের হাতে ঘুমানোর সময় নেই। বেশি সময় ধরে ঘুমানোর চেষ্টাই যেন আমাদের কম।
অথচ ঘুম খুবই সার্বজনীন। এটা একেবারে বিনামূল্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য এতটাই ভালো যে এখন ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশনে রোগীদের ঘুমের পরামর্শ দেন।
ঘুমের উপকারিতার সীমা নেই। ঘুম না হলে শরীর আর মনের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। তবে ঘুমের উপকারিতা পেতে হলে সেটি হতে হবে স্বাভাবিক ঘুম- স্লিপিং পিল খেয়ে ঘুমালে হবে না। কারণ স্লিপিং পিল আবার ক্যান্সার, ইনফেকশন বা অন্য রকমের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যখন আমরা ঘুমাই না, বা কম ঘুমাই, তখন শরীর এবং মনের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ে।

যত কম ঘুমাবেন, আয়ু তত কমবে! ছবিঃসংগৃহীত
উন্নত বিশ্বে যত রকমের রোগ-ব্যাধিতে মানুষের মৃত্যু ঘটছে, তার অনেকগুলোর সঙ্গেই অনিদ্রার বেশ গুরুতর বা মোটামুটি রকমের সম্পর্ক আছে। যেমন: আলজেইমার, ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেশন, দুশ্চিন্তা বা এমনকি আত্মহত্যা। আমাদের শরীরের ভেতর যত ধরনের তন্ত্র আছে, বা আমাদের মস্তিস্কে যত রকমের নেটওয়ার্ক বা কাজ-কর্ম চলে, তার সবগুলোই কিন্তু ঘুমের সময় বিশ্রাম পায়। যখন আমরা যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমাতে পারি না, তখন এগুলোর কাজ-কর্ম ব্যাহত হয়। অনিদ্রা বা কম ঘুমের বেলায় যেটা সমস্যা, তা হলো, আমরা আসলে বুঝতে পারি না যে, এটি আসলে আমাদের উপরে কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন মানুষের কতটা ঘুম দরকার?
খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর হচ্ছে সাত হতে নয় ঘন্টা। ঘুম যদি সাত ঘন্টার কম হয়, তখন মস্তিস্ক এবং শরীরের ওপর এর কী প্রভাব পড়ছে তা মাপা যায়। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সজ্ঞানতা হ্রাস পেতে থাকে। কেউ যদি একটানা ২০ ঘন্টা সজাগ থাকেন, অতিরিক্ত মদ পান করে মাতাল হলে যে অবস্থায় হয়, তার অবস্থাটাওঁ দাঁড়াবে সেরকম।
অনেকের মধ্যে এমন একটা ভুল ধারণা আছে যে, ঘুম কম হলে সেটা বুঝি পরে পুষিয়ে নেয়া যায়। আসলে কখনোই সেটা করা যায় না। ঘুম তো আর ব্যাংকের মতো নয়, যে ঋণ করে পরে শোধ করা যাবে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ তাই ভাবে। তারা সারা সপ্তাহ কম ঘুমিয়ে সপ্তাহান্তে সেটা পুষিয়ে নেবে বলে নিজেদের বুঝ দেয়। এটাকে বলে সোশ্যাল জেট-ল্যাগ বা স্লিপ বুলিমিয়া। এমন না ভেবে প্রতিদিন সঠিক সময়ে ঘুমানো এবং জাগ্রত হওয়া উতিচ। তারজন্য রাতে আমাদের মস্তিস্ক এবং শরীরের তাপমাত্রা অন্তত এক ডিগ্রি কমে যাওয়া উচিত ভালো ঘুমের জন্য।
অথচ ঘুম খুবই সার্বজনীন। এটা একেবারে বিনামূল্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য এতটাই ভালো যে এখন ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশনে রোগীদের ঘুমের পরামর্শ দেন।
ঘুমের উপকারিতার সীমা নেই। ঘুম না হলে শরীর আর মনের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। তবে ঘুমের উপকারিতা পেতে হলে সেটি হতে হবে স্বাভাবিক ঘুম- স্লিপিং পিল খেয়ে ঘুমালে হবে না। কারণ স্লিপিং পিল আবার ক্যান্সার, ইনফেকশন বা অন্য রকমের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যখন আমরা ঘুমাই না, বা কম ঘুমাই, তখন শরীর এবং মনের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ে।

যত কম ঘুমাবেন, আয়ু তত কমবে! ছবিঃসংগৃহীত
উন্নত বিশ্বে যত রকমের রোগ-ব্যাধিতে মানুষের মৃত্যু ঘটছে, তার অনেকগুলোর সঙ্গেই অনিদ্রার বেশ গুরুতর বা মোটামুটি রকমের সম্পর্ক আছে। যেমন: আলজেইমার, ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেশন, দুশ্চিন্তা বা এমনকি আত্মহত্যা। আমাদের শরীরের ভেতর যত ধরনের তন্ত্র আছে, বা আমাদের মস্তিস্কে যত রকমের নেটওয়ার্ক বা কাজ-কর্ম চলে, তার সবগুলোই কিন্তু ঘুমের সময় বিশ্রাম পায়। যখন আমরা যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমাতে পারি না, তখন এগুলোর কাজ-কর্ম ব্যাহত হয়। অনিদ্রা বা কম ঘুমের বেলায় যেটা সমস্যা, তা হলো, আমরা আসলে বুঝতে পারি না যে, এটি আসলে আমাদের উপরে কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন মানুষের কতটা ঘুম দরকার?
খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর হচ্ছে সাত হতে নয় ঘন্টা। ঘুম যদি সাত ঘন্টার কম হয়, তখন মস্তিস্ক এবং শরীরের ওপর এর কী প্রভাব পড়ছে তা মাপা যায়। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সজ্ঞানতা হ্রাস পেতে থাকে। কেউ যদি একটানা ২০ ঘন্টা সজাগ থাকেন, অতিরিক্ত মদ পান করে মাতাল হলে যে অবস্থায় হয়, তার অবস্থাটাওঁ দাঁড়াবে সেরকম।
অনেকের মধ্যে এমন একটা ভুল ধারণা আছে যে, ঘুম কম হলে সেটা বুঝি পরে পুষিয়ে নেয়া যায়। আসলে কখনোই সেটা করা যায় না। ঘুম তো আর ব্যাংকের মতো নয়, যে ঋণ করে পরে শোধ করা যাবে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ তাই ভাবে। তারা সারা সপ্তাহ কম ঘুমিয়ে সপ্তাহান্তে সেটা পুষিয়ে নেবে বলে নিজেদের বুঝ দেয়। এটাকে বলে সোশ্যাল জেট-ল্যাগ বা স্লিপ বুলিমিয়া। এমন না ভেবে প্রতিদিন সঠিক সময়ে ঘুমানো এবং জাগ্রত হওয়া উতিচ। তারজন্য রাতে আমাদের মস্তিস্ক এবং শরীরের তাপমাত্রা অন্তত এক ডিগ্রি কমে যাওয়া উচিত ভালো ঘুমের জন্য।
মন্তব্যসমূহ