সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ন্যাপকিন থেকেও হতে পারে নারীদের জরায়ুর ক্যান্সার!

ন্যাপকিন থেকেও হতে পারে নারীদের জরায়ুর ক্যান্সার!

আধুনিক যুগের কর্মব্যস্ত নারীদের ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়গুলোতে তাদের প্রধান সঙ্গী হয়ে ওঠে স্যানিটারি ন্যাপকিন। এই স্যানিটারি ন্যাপকিনই হতে পারে জরায়ু ক্যান্সারের কারণ! বিশ্বব্যাপী ৭৫% নারীই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যৌনাঙ্গে চুলকানি, র‍্যাশ ও ব্যথা বোধ করেন। যার জন্য বেশিরভাগই দায়ি থাকে স্যানিটারি ন্যাপকিন।
ন্যাপকিন থেকেও হতে পারে নারীদের জরায়ুর ক্যান্সার!

আসুন জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞানের দৃষ্টি থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির গবেষণায় পাওয়া গেছে, স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ডাইঅক্সিন (Dioxin) নামক এক ধরণের কেমিকেল। যা সরাসরি ক্যান্সারের জন্যে দায়ী। এছাড়া জরায়ুর নানা ধরনের সংক্রমণের জন্যেও দায়ী থাকে। এই এজেন্সির ১৯৯৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিটি স্যানিটারি ন্যাপকিনে ডায়োক্সিন থাকে ৪০০ পিপিটি। এই ডায়োক্সিন সন্তাণ ধারণ ক্ষমতা ও জরায়ুর নানা ধরনের রোগের জন্যও দায়ী।
দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা দেয় যে ন্যাপকিন গুলো, সেগুলো রক্তকে জেলে পরিণত করে ফেলে। কিন্তু ৫ ঘন্টা পরেই সেখানে ফাঙ্গাস জন্মাতে শুরু করে। আর ত্বকের সংস্পর্শে এসে নানা ধরনের জরায়ুর সংক্রমণ, লাল র‍্যাশ সহ চুলকানী হতে পারে। প্যাডের নিচে থাকা প্লাস্টিকের কারণে রক্ত যেমন বাইরে বের হতে পারে না, তেমনি বাতাস চলাচলেও বাধা পড়ে। ফলে স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় সহজেই ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। এ থেকে সংক্রমণও হতে পারে। প্রস্তুত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ে নানা কেমিক্যাল ওয়াশের প্রয়োজন হয়। এর ফলে কিছু কেমিকেল রয়েই যায়। যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। যে কোম্পানীর ন্যাপকিনই ব্যবহার করুণ না কেন, চেষ্টা করুন, তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করার। ব্যবহারের জন্য তুলোর তৈরি ন্যাপকিন বেছে নিন। যা পাঁচ ঘন্টা পর পর বদলে নেয়া যায়।তথ্য ও ছবিঃ সংগৃহীত

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস

খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস প্রাকৃতিক ও জলবায়ুর পরিবর্তন, খাবারে রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের আকার দিন দিন কমে আসছে। যে সকল মেয়েদের উচ্চতা কম তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হীনমন্যতায় ভুগেন।  কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। তারা যদি তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নির্বাচনে একটু সচেতন হোন তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে খুব একটা খাটো লাগবেনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাটো মেয়েদের জন্য কিছু ফ্যাশন টিপসঃ খাটো মেয়েদের জন্য ফ্যাশন টিপস *  বিভিন্ন ধরনের ও মাত্রায় এক রঙের পোশাক পড়লে উচ্চতা নিয়ে একটি বিভ্রম তৈরি করে এবং দেখতে বেশি খাটো লাগবে না। এক্ষেত্রে একরঙা পোশাক ব্যবহার করুন।   *  হাই-ওয়েস্ট বা উচ্চ কোমরের নকশার পোশাক যেমন, ট্রাউজার্স, স্কার্টস, হাফপ্যান্ট বেশি হাইয়ের পোশাক। কারন এগুলোতে পা-কে অনেক লম্বা দেখায়। *  উচ্চতা কম হলে পশ্চিমা পোশাক পরতে হয় খুব সাবধানে। একেবারে ছোট টপস, গেঞ্জি, শার্ট পরবেন না। মাঝারি ঝুলের ফতুয়া, গেঞ্জি, টপস ইত্যাদি পরুন। আড়াআড়ি স্ট্রাইপ বা বড় প্রিন্টের চেয়ে লম্বালম্বি সরু স্ট্রাইপের পোশাক বেছে নিন। *...

নাড়ু সংরক্ষন

নাড়ু সংরক্ষন নারকেলের তৈরী যে কোন খাবারই কিছুদিন পর একটি তেলটা গন্ধ। পূজা বা যেকোন সময় নাড়ু বানালে সেটা সাথে সাথে না খেয়ে কিছুদিন সংরক্ষন করা হয়। তাই বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য চিনির নাড়ু থেকে গুড়ের তৈরী নাড়ুই বেশি উপযোগী। নাড়ু সংরক্ষন সংরক্ষনের জন্য- * একটি এয়ার টাইট কন্টেইনারে করে আপনি নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশ ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। * বানানোর সময় একটু ছোট এলাচ,কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে নাড়ুর পাকটা দিলে তেলটা গন্ধ দেরীতে হবে। * চিনির নাড়ু বা সন্দেশ এর মিশ্রনে যে দুধটা দেয়া হয় সংরক্ষণ করে দ্রুত খেয়ে নেয়া স্বাস্থ্যসম্মত। * নাড়ু তৈরির সময় যদি জ্বালটা সঠিক দিতে পারেন এবং এক চিমটি কর্পুর গুড়ো মিশিয়ে দিলেও নাড়ু অনেক দিন ভালো থাকে। * যদি খুব বেশি দিন সংরক্ষণ করতেই চান তবে কড়া পাকের গুড়ের নাড়ু তৈরী করুন। এটি এক-দেড় মাস ভালো থাকবে।

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার

কর্নফ্লাওয়ার (বার্লি)'র অজানা ব্যবহার রান্না ছাড়াও কর্নফ্লাওয়ারের রয়েছে আরো অনেক গুণগত ব্যবহার। যেমনঃ কর্নফ্লাওয়ার (বার্লির) অজানা ব্যবহার * কোন কাপড়ে তেলে লেগে গেলে কিছুটা কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন, দেখবেন কত সহজে দাগ উঠে গেছে। *  জানালার কাঁচ পরিষ্কার করার সময় গ্লাস ক্লিনারের পরিবর্তে আট কাপ পানিতে সিকি কাপ কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে ব্যবহার করে দেখুন গ্লাস একেবারে চকচকে হয়ে যাবে। * চেইন বা ব্রেসলেটে গিঁট লেগে গেলে গিট ছাড়াবার জন্য এলোমেলো টানাটানি না করে তার পরিবর্তে গিঁটের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে গিঁট খোলার চেষ্টা করুন দ্রুত খুলে আসবে। * পোকার কামড়ে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং জুতার দুর্গন্ধ দূর করতেও কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করা যায়। * চুল তেলতেলে হয়ে থাকলে নির্দিধায় চুলের ওপর খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে একেবারে ঝরঝরে।