হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে করনীয়!
গরমের সময় মারাত্মক স্বাস্থ্যগত একটি সমস্যার নাম হিটস্ট্রোক। যা শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারনে সৃষ্ট এক ধরনের জটিলতা। কোন কারনে যদি মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্র ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের তুলনায় বেড়ে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে চলে যায় তাহলে হিটস্ট্রোক হতে পারে।
![]() |
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে করনীয়। ছবিঃসংগৃহীত |
গরমে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ত্বকের রক্তনালি প্রসারিত হয় এবং অতিরিক্ত তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়। প্রয়োজনে ঘামের মাধ্যমেও শরীরের তাপ কমানো হয়। কিন্তু প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র পরিবেশে অনেকক্ষণ থাকলে বা পরিশ্রম করলে তাপ নিয়ন্ত্রণ আর সম্ভব হয় না। এতে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায় এবং হিটস্ট্রোক দেখা দেয়।
হিটস্ট্রোকের আরেকটি কারন ডিহাইড্রেশন। একজন ডিহাইড্রেটেড ব্যক্তি ঘামের মাধ্যমে যথেষ্ট দ্রুত তাপ বের করে দিতে পারেনা। যার ফলশ্রুতিতে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক রকম বেড়ে গিয়ে হিটস্ট্রোক হতে পারে।
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে করনীয়ঃ
** সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হবে দেহকে ডিহাইড্রেটেড (পানিশূন্য) হতে না দেয়া। এজন্য প্রচুর পরিমানে পানি, ফলের রস পান করা।
** ঘামের সাথে দেহের লবন বেরিয়ে যায়। তাই দূর্বলবোধ করলে স্যালাইন খাওয়া।
** বেশি গরমে ভারি কাজ পরিহার করা। যদি করতে হয় তাহলে কাজের ফাকে ফাকে প্রচুর পরিমানে তরল পান করা। তরল যেন ক্যাফেইন সমৃদ্ধ না হয়(সফট ড্রিংক, চা, কফি ইত্যাদি) সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
** বাইরে বের হওয়ার সময় ঢিলেঢালা প হাল্কা রঙের পোশাক পরা।
** ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা।
মন্তব্যসমূহ